ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় অনুষ্ঠিত আন্তঃশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ‘মোবাইল ফোনের অবাধ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের কেবল ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে’—এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা শিরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে।
৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় উপজেলার ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। চারটি রাউন্ডে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর চূড়ান্ত পর্বে শিরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রস্তাবের পক্ষে এবং কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী বিপক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরে। তীব্র যুক্তিতর্ক ও তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পর বিচারকদের রায়ে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, “এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর্তমান সময়ে মোবাইল আসক্তি একটি বড় সমস্যা, যা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ভুল পথে চালিত করছে। বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এর ভালো-মন্দ উভয় দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এটি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করি, এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও যুক্তিবাদী চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বিতর্ক কেবল একটি খেলা নয়, এটি যুক্তিনির্ভর সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পেরেছে। বিতর্কের বিষয়বস্তু অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ মোবাইল ফোনের অপব্যবহার আজ আমাদের সমাজের একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। আশা করি, এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।” তিনি অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
চূড়ান্ত পর্বের বিতর্কে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আশরাফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা, উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরুণ বসু এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত।