ভেরিফাইড ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত,
আমাদের আলি উল্লাহ’ আলোর আজ চতুর্দশ শাহাদত বার্ষিকী। মাত্র ৭ বছর বয়সে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা ঘাতকদের মাধ্যমে নৃশংসভাবে হত্যা করিয়েছে আমাদের কলিজার টুকরোকে।
নিশৃংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ৭বৎসরের শিশু আলো
বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ২১ বছর। সে বয়সের কাউকে দেখলেই তাদের মাঝে আমি আমার সন্তানকে খুঁজে ফিরি।
মাদ্রাসা, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির কোন ছাত্রদের দেখলে অপলক তাকিয়ে থাকি। দেখি আলি উল্লাহ আলো বেঁচে থাকলে ঠিক কার মতো হতো? কেমন হতো? ……
কল্পনার জগতটা ধুসর হয়ে আসে। দেখি, আলি উল্লাহ আলো আমাদের মাঝে নেই। তার প্রত্যক্ষ হত্যাকারীরা কনডেম সেলে মৃত্যুর দিন গুনছে। ঘাতকদেরকে যারা ভাড়া করে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো – তারাও আজ কারাগারে।
ঘাতকদের মদদদাতা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরাও কারাগারে- এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। আহকামুল হাকিমীন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা’র দরবারে ১৪টি বছর ধরে সেই প্রার্থনাই করে আসছি।
শহীদ আলীউল্লাহ’র মতো হাজারো শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। “গণতন্ত্রের মা” আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন। আমরা গণমানুষের অধিকারের কথা বলতে পারছি। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
১৭ বছর ধরে সব হারিয়ে, হাজারো প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে , জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে, রাজপথে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে, ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুন প্রজন্মের সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিবর্তনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা বার বার আসেনা। এ সুযোগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
এই উখিয়া টেকনাফের বঞ্চিত জনপদের গন মানুষের ৪০ বছরের না বলা কথা, পরিবর্তনের সুর মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিতে হবে। হয়তোবা এতদিনে আমিও কবরে থাকতাম। আল্লাহর দয়ায় বেঁচে আছি। বাকি সময় টুকু এই জনপদের জনগণের অধিকারের কথা বলতে চাই।
ঘাতকদের বিচার দুনিয়াতে হচ্ছে। আখেরাতেও হবে। এই শোকের দিনে আমরা কিছুটা হলেও ভারমুক্ত হতে চাই।
রহমানুর রহীম দয়াময় আল্লাহ শহীদ আলি উল্লাহ’র উছিলায় আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
লিখেছেন, মোঃ আবদুল্লাহ
অর্থ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা শাখা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।