মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি তাদের হেফাজতে থাকা পণ্যবাহী দুটি জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে। এখনও আটকে রাখা হয়েছে আরও একটি। তবে সেটিও ছেড়ে দিবে বলে জানা যায়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দুটি জাহাজ বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা করে ১২টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। আরাকান আর্মির হাতে তল্লাশির জিন্মি হওয়া জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।
এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এমএ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের মালামাল রয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুটি জাহাজ পৌঁছেছে। বাকিটির বিষয় পরে জানানো যাবে। এদিকে বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তবে তারা আশা করছেন, শীঘ্রই বাকি কার্গো জাহাজটিও ছেড়ে দিবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২৩ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্যে আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। গেল বছর (২০২৪-২৫) অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার মেট্রিক টন আমদানি হয়। যার ফলে ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের তুলনায় ১৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানান তিনি।